দীর্ঘ দিন যাবত কতিপয় আইসিটি, বিজ্ঞান, ফিনান্স, বিপনন ও বৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত শাখা শিক্ষকদের এমপিও বন্ধ রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সকল শিক্ষককে বাতায়নের সদস্য হতে হবে। যথারীতি অধিকাংশ শিক্ষকেই এখন বাতায়নের সদস্য। কিন্তু সক্রিয় কতজন? এটাই প্রশ্ন। একজন আইসিটি শিক্ষক, তাকে আইসিটি রিলেটেড যন্ত্রপাতি নিয়েই বেশি সময় কাটাতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই একজন আইসিটি শিক্ষকের ভূমিকা অন্যান্য শিক্ষকের চেয়ে একটু বেশিই। ইমেইল আইডি খোলে দেওয়া, বাতায়নের সদস্য করে দেওয়া, কন্টেন্ট তৈরীর কৌশল বলে দেওয়া, সর্বোপরি আইসিটি সংক্রান্ত সকল বিষয়েই আইসিটি শিক্ষকের ভূমিকা অগ্রগণ্য। আর সেই আইসিটি শিক্ষকের বেতন নেই দীর্ঘ সাত বছর। বিষয়টি দুঃখজনক! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিওবিহীন শিক্ষকরা যতটা বেতনের জন্যে লিখেছেন, অন্যকোন বিষয়ের উপর এতোটা ঝড় উঠেনি। তবুও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। মাউশি, মন্ত্রণালয় তথ্য নেয় ঝড়ের গতিতে, প্রসেস করে শম্ভুক গতিতে। ২৭/১০/২০১৫ ইং তারিখ আইসিটি শিক্ষকদের মন্ত্রণালয় তথ্য নিয়েছিল। ১৫/১২/২০১৫ তারিখ মাউশি ১৩৫২ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে। তালিকাটি কাটসাট করে ০৯/০১/২০১৬ ইং তারিখ ১২২২ জনের অর্থের রিকুইজিশন অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর আর কোন খবর হয়নি। ২৮/০৪/২০১৬ ইং একটি পরিপত্র জারি হয় এই মর্মে, পরিবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আইসিটি ও বিজ্ঞান শিক্ষকদের বেতন প্রতিষ্ঠান বহন করবে। ০৯/০৬/২০১৬ ইং উক্ত পরিপত্রটি পরিমার্জিত হিসেবে আবার প্রকাশিত হয়। এরপর মাউশিতে যাগাযোগ করা হলে উনারা বলেন, আইসিটি একটি যুগোপযোগী বিষয়, এর বেতন হবেই। কিন্তু কবে? এর সুনির্দিষ্ট জবাব শিক্ষমন্ত্রণালয়েও দেয়না। শিক্ষামন্ত্রণালয় নীরব ভূমিকা পালন করে। আবার ২৩/০৮/২০১৭ ইং তারিখ সেই তথ্য নেওয়া তথ্য নেওয়া খেলা।
২২/০৯/২০১৭ ইং তারিখ দৈনিকশিক্ষা মারফত জানতে পারলাম আইসিটি শিক্ষকদের অর্থছাড়ের ফাইল শিক্ষামন্ত্রণালয়ে। অনেকেই ভেবেছেন এবার বুঝি হবেই। কিন্তু আবার সেই শম্ভুক গতি। কবে যেন জ্বলবে আশার সেই সবুজ বাতি? নাকি সিগন্যালে পরেই নন-এমপিও শিক্ষকদের বাকি জীবনটা কেটে যাবে।
0 Comments