Header Ads Widget

মংগল গ্রহ সম্পর্কে ৭টি মজার তথ্য।




মংলগ্রহে মানব অভিযান নিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায় খুব তাড়জোড় চলছে। ৩০ সালেই আগেই সংস্থাটি মংলগ্রহে মানুষ পাযঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। মংলগ্রহে অভিযানের জন্যে যে গাড়ি ব্যাবহার করা হবে, সেটি প্রদর্শনীর জন্যে নেওয়া হয় নিউইয়র্কের সি এয়ার এন্ড স্পেস মিউজিয়ামে। বিশ্বষজ্ঞরা বলছেন, লাল গ্রহে প্রথম পা রখবেন যে ব্যাক্তি, তিনি ইতিমধ্যেই আমাদের মাঝে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার বয়ষ এখন ১০ থেকে ১৮ মাস। সুতরাং,  তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ এই লাল গ্রহের প্রতি বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক। এবার জেনে নেওয়া যাক মংলগ্রহের সম্পর্কে কিছু মজার ও বিশ্বয়কর তথ্য।
১. মংগল গ্রহ হলো সৌরজগতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম গ্রহ। ব্যাসের দিক দিয়ে এ গ্রহ পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক। কিন্তু পৃথিবীর ভূত্বকের ৭০ শতাংশ জলাবদ্ধ থাকায় এর ভূখন্ডের পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান।
২. এর ইংরেজি নাম 'মার্স' শব্দটি এসেছে রোমান মাইথলজির যুদ্ধের দেবতার নাম থেকে। এর আগে জ্যোতির্বিদরা মংগলকে লাল গ্রহ বলেই ডাকতেন। মংলগ্রহের দুটো উপগ্রহ ফোবোস ও ডেইমোস। জোনাথন সুইফটের গালিভার (ট্রেভেলস) বইতে নাম দুইটির প্রথম উল্লেখ করা হয়। তবে মংগলের উপগ্রহ আবিস্কারের ১৫১ বছর আগেই গালিভার (ট্রেভেলস) বইটি রচিত হয়েছিল।
৩. পৃথিবীর মতোই মংলেও আছে বায়ুমণ্ডল, পাহাড়, উপত্যকা, মরুভূমি ও মেরুদেশীয় বরফ। পৃথিবী থেকে আমরা সূর্যের যে আকৃতি দেখি মংলগ্রহ থেকে তার অর্ধেক দেখায়। 
৪. মংগলের ভূপৃষ্ঠের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় তিনভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ পৃথিবীর কারাও ওজন যদি হয় ১০০ কেজি, মংগল গ্রহে দাঁড়াবে ৩৮ কেজি। পৃথিবীর তুলনায় তিনগুণ বেশি উচ্চতায় লাফানো যাবে মংগলে। 
৫. সৌরজগতের সর্ববৃহৎ পর্বত মংগলগ্রহে অবস্থিত। পর্বতটির নাম অলিম্পাস মন্স, উচ্চতা ২১ কিলোমিটার। পৃথিবীর মতোই মংগলের ম্যাগনেটিক ফিল্ড রয়েছে।
৬. মংগলের কক্ষপথ ডিম্বাকৃতি হওয়ায় বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পুরো গ্রহে শক্তিশালী বালুঝড় তৈরী হয়। কখনো কখনো এ ঝড় এক মাসেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। 
৭. পৃথিবীর হিসেবে ৬৮৭ দিনে মংগলগ্রহ সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর মতোই মংগলেও ঋতুবৈচিত্রের দেখা মেলে। কিন্ত মংগলে একটি ঋতু পৃথিবীর তুলনায় দ্বিগুণ সময় স্থায়ী হয়।
সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

Post a Comment

0 Comments