বঙ্গবন্ধুর
বিকৃত প্রতিকৃতির আলোচনায় চার জন।
অদ্রিজ একটি ক্ষুদে শিল্পীর নাম। যে কিনা আলোচিত হয়েছে সারা বাংলাদেশে জাতির জনক
বঙ্গবন্ধুরর বিকৃত প্রতিকৃতি অংকন করে। অদ্রির বাবা পরিমল কর। মাতা পদ্মাবতি
হালদার স্কুল শিক্ষিকা। অদ্রির ঠিকানা, গ্রাম ফুল্লশ্রী, উপজেলা আগৈলঝড়া, জেলা
বরিশাল। সে আগৈলঝড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। চিত্রাংকন
প্রতিযোগিতায় ছবি এঁকে সে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। অদ্রির আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবিটি
তৎকালীন আগৈলঝড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব গাজী তারিক সালমান এইটুকু বাচ্চার
অসাধারণ ছবিটি দাওয়াত কার্ডে প্রচ্ছদ হিসেবে ব্যাবহার করেন। বিকৃত অভিযোগের ছবিটি বরিশালের জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও
আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ওবায়দুল্লাহ সাজুর নজরে এলে, ৭ই জুন ইউএনও
গাজী তারিক সালমানের বিরোদ্ধে মামলা করেন। বরিশাল সিএমএম আদালতের বিচারক মোঃ আলী
হোসাইন মামলাটির সমন জারি করেন। ২৭শে জুনের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার
নির্দেশ দেন। একই আদালত আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোরও নির্দেশ দেন। ছবিটিতে যতটুকু
বোঝা যায়, জাতীয় পতাকায় সবুজের মধ্যে লাল অংশটুকুতে বঙ্গবন্ধুর মুখাবয়ব অদ্রিজ
আঁকতে চেষ্টা করেছ। যদিও রঙের ব্যাবহার যথাযথ হয়নি। লাল অংশটুকুতে সে গোলাপী রঙ
ব্যাবহার করেছে। যাহউক, ছোট্ট শিশুর মনে বংবন্ধুর প্রতি ভালবাসা নিয়েই সে এই ছবিটি
এঁকেছে। তার মনে আদৌ কোন মেকি ছিল বলে আমার মনে হয়না।
0 Comments