Header Ads Widget

দৈনন্দিন জীবনে ওয়ার্ড প্রসেসর ও স্প্রেডশিট

 

      আদি কাল থেকেই মানুষ গাছের ছাল কিংবা পাথরের উপর লিখে রাখতো। এ চেষ্ঠা থেকেই এবাকাসের উদ্ভাবন। এবাকাসের লাইনগুলো অনেকটা পুতির মালার মতো দেখতে। প্রায় পঞ্চান্ন বছর আগে হিসাব নিকাশ ও সংরক্ষণের একমাত্র ভরসাই ছিলো কাগজ-কলম। ক্যল্কুলেটর আবিস্কারের ফলে হিসাবের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এরপরেও জটিল ও দীর্ঘ হিসাবের সমস্যা কাটেনি। সকল সমস্যার সমাধান হয় কম্পিউটার আবিস্কারের ফলে। আইসিটির বিকাশের ফলে আমাদের কাজগুলো সহজভাবে সম্পন্ন করার জন্যে রয়েছে অনেক ধরণের সফটওয়্যার। এই সফটওয়ারগূলোক্র বলা হয় অফিস সফটওয়ার। আমাদের ডেক্সটপ, ল্যাপ্টপ বা স্মার্টফোনে এ এ ধরণের সফটওয়ারগুলো ব্যবহার করা যায়। লেখালেখির জন্যে রয়েছে ওয়ার্ড প্রসেসর, আর হিসাব নিকাশের জন্যে রয়েছে স্প্রেডশিট এনালাইসিস সফটওয়ার। সপ্তম অষ্টম শ্রেণিতে এ ব্যাপারে কিছুটা ধারণা দেওয়া হয়েছে। এখন এখন কিছুটা অগ্রসর ধারণা নিয়ে আলোচনা করবো।

 

মানুষের মনের ভাব ও কল্পনাকে তুলে ধরতে মাধ্যম হিসেবে লেখার কাজ শুরু করে। এই  লেখালেখি এখন কাগজে কলমে কমই ব্যবহৃত হয়। এটা সম্ভব হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে। এ ক্ষেত্রে ওয়ার্ড প্রসেসিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ডেক্সটপ, ল্যাবটপ, স্মার্টফোনে আমাদের লেখালেখির কাযে ওয়ার্ড প্রসেসরের ভূমিকা অপরিসীম। অয়ার্ড প্রসেস্রের কাজ করতে অনেক সুবিধা।

 

- কোন শব্দ ভূল হলে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। - কাজ সম্পাদনার সুযোগ থাকায় লাখাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। - ডকুমেন্টকে আকর্ষণীয় করতে ইমেজ, শেইফ, গ্রাফ, চার্ট, টেবিল সংযোজন করা যায়। - দরকারী ডকুমেন্টের কপি পেস্টের সুযোগ রয়েছে। - লেখার আকার ছোট, বড়, হেলানো, আন্ডার লাইন, রঙ্গীন করা, বক্স আকারে উপস্থাপন করা যায়। - স্পেল চেকার বা বানান দেখার সফটওয়্যারের সাহায্যে বানান সংশোধন করা; ওয়ার্ড প্রসেসরে সয়ংকৃয়ভাবে বানান সংশোধনের ব্যাবস্থাও রয়েছে। - সেভ করে যতবার ইচ্ছে ততবার প্রিন্ট করে নিতে পারি। - ফাইল বা কাগজের নথিপত্রের পরিবর্তে ওয়ার্ড প্রসেসরের ফাইল সংরক্ষন সহজ।

 

এম এস ওয়ার্ড, এন এস এক্সেল, এম এস পাওয়ার পয়েন্ট এসব ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যারগুলোতে আরো নানা ধরণের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এসব সুবিধার কারণেই প্রতিনিয়ত এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে সাধারণত  মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়। নবম দশম শ্রেণির চতুর্থ অধ্যায় ৫৪ প্ররষ্ঠায় "আমার লেখালেখি ও হিসাব" পাঠে  এম এস অফিস ২০০৭ মাইক্রোসফট অয়ার্ড এবং মাইক্রোসফট এক্সেল-এর ভিত্তিতে আলোচনা করবো। অফিস বাটন এবং এর অপসনসমূহ  ওয়ার্ড ২০০৭ চাউ করার পর একটি ইউন্ডো খুলবে। এর পর অফিস বাটনে ক্লিক করলে যে অপশনগুলো পাওয়া যায় তা হলো নিউ, ওপেন, সেইভ, সেইভ এজ, ক্লোজ, লেখালেখির সাজসজ্জা।  এরপর হম বাটনে রয়েছে ক্লিববোর্ড, ফন্ট, প্যারাগ্রাফ, যেখানে কাট, কপি, পেস্ট, ফন্ট স্টাইল, ফন্ট সাইজ, ফন্ট কালার করার ব্যবস্থা। প্যারাগ্রাফ গ্রূপে বুলেট ও নম্বরের আইকন কমান্ড পাওয়ার যায়। দুই লাইনের মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ধারণ করার জন্যে "লাইন ব্যবধান" টুওলটি ব্যবহৃত হয়। ইনসার্ট গ্রূপে অনেকগুলো অনেকগুলো অনেকগুলো বাটন রয়েছে। তার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টেবিল, পিকচার, শেইফস টুল্গুলো। এর পরে আছে "পেইজ লে আউট" গ্রূফ।  যেখানে মার্জিনস, অরিয়েন্টেশান, সাইজ, কলামস ইত্যাদি টুলগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

 

 এবার স্প্রেডশিট ও আমার হিসাব নিকাশ  অষ্টম শ্রেণিতে স্প্রেডশিট বিশ্লেশন সফটওয়্যার সম্বন্ধে আলচনা হয়েছে। স্প্রেডশিট বিশ্লেষণ বৈশিষ্ট্যসমূহঃ- -বিভিন্ন রকমের সংখ্যা বা অক্ষিওরভিত্তিক উপাত্ত নিয়ে কাজ করা যায়। - যে কোনো হিসাবের জন্যে সুবিধাজনক। - কলাম ও সারি থাকার কারণে উপাত্ত বিন্যাস সহজ। - সূত্র ব্যবহারের সুযোগ থাকায় অনেক বেশি উপাত্ত নিয়ে কাজ করা যায়। - বিভিন্ন ফাংশন সূত্রাকারে ব্যবহার করে সহজে উপাত্ত বিশ্লেষণ করা যায়। - আকর্ষণীয় গ্রাফ, চার্ট ব্যবহার করে উপাত্ত উপস্থাপন করা যায়। - এছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে ফলাফল বিশ্লেষণ, আয়-ব্যয় হিসাবে, বাজেট তৈরীতে, স্টাফদের বেতন সংক্রান্ত হিসাবে, নির্বাচনের ভোট গণনায়, আয়কর হিসাব ও বিশ্লেষণে, এয়ারলাইন্স রিজার্ভেশণে স্প্রেডশিটের ব্যব্যহার উল্লেখযোগ্য। 

 

Post a Comment

0 Comments