Header Ads Widget

স্কুলে আইসিটি ও আমাদের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ


 দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের সাথে সংশ্লিষ্ট ও পরিচিত। কিন্তু আমাদের ছাত্রছাত্রীদের  বিশেষ করে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে আইসিটি বা তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়টি শেখানো হচ্ছে। আইসিটি বইটিতে ছবিসহ ডিটেইলস বর্ণনা আছে। কিন্তু এ বিষয়টির প্রতি অনেক ছাত্রছাত্রীরই অনীহা রয়েছে।  ক্লাসে যখন আলোচনা করা হয় হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার, ইনপুট ডিভাইস, আউটপুট ডিভাইস, মেমোরি ডিভাইস, র‍্যাম,রম,জিপিএস, ত্রি-জি, ফোর জি, আরো কতকি। এসব কি মাথায় থাকে? হ্যাঁ, অবশ্যই থাকবে। আইসিটি বিষয়টি জটিল ও কঠিন মনে হলেও, আমাদের জীবনকে করে দিয়েছে সহজ থেকে সহজতর। সুতরাং আমাদের ছাত্রছাত্রীদের এ বিষয়টির প্রতি বিশেষ মনোযোগী ও যত্নবান হতে হবে। এখন ধরা যাক হার্ডওয়্যার আসলে কি? - কম্পিউটারের লোহালক্কড়, প্লাস্টিক, তার, দ্বারা নির্মিত ডিভাইসটিই হার্ডওয়্যার। কম্পিউটারের কেসিং, মনিটর, কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি। ধরি একটি কম্পিউটার বাজার থেকে কিনে আনলাম। কিন্তু এতে কোনো ও এস বা অপারেটিং সিস্টেম বা উইন্ডোজ নেই। তাতে কি হবে? কম্পিউটার কি চলবে? এর জন্যে দরকার ও এস বা অপারেটিং সিস্টেম। যখন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়ার দু'টোর সমন্বয় হবে, তখনই কেবল কম্পিউটার কাজ করবে।  একটি কম্পিউটারে মাউস, কি-বোর্ড, মনিটর, সিস্টেম ইউনিট বা সিপিইউ প্রিন্টার, স্ক্যানার, আইপিএস, মডেম, পেনড্রাইভ, পাওয়ার ক্যাবল, সিগন্যাল ক্যাবল, কত কি থাকে। এখন কোনটা কি ডিভাইস ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পড়িয়ে আসলেও নবম-দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরাও মৌখিক পরীক্ষায় হিমশিম খায়। বিশেষ করে আমাদের মফস্বলের ছাত্রছাত্রীদের এ সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনে এ বিষয়গুলো নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করলেও মাথায় থাকে খুবই সামান্য। তোমরা সপ্তম শ্রেণির আইসিটি বইটির দ্বিতীয় অধ্যায়ে কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি নিয়ে সেখানে ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস নিয়ে বিশদ বর্ণনা দেখতে পাবে। এখন ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে? যে ডিভাইস কম্পিউটারে ডেটা ইনপুট করে তাই ইনপুট ডিভাইস। কি-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, ক্যামেরা, ওএমআর এরূপ ডিভাইসগুলো কম্পিউটারে ডেটা ইনপুট করে থাকে। সুতরাং এগুলো ইনপুট ডিভাইস। এখন একটু মনোযোগ সহকারে পড়লে আমরা অবশ্যই বলতে পারবো ইনপুট ডিভাইস কোনগুলো। 

এখন জানবো আউটপুট ডিভাইস কি। যে ডিভাইসগুলো কম্পিউটার থেকে ডেটা বের করে নিয়ে আসে, সেগুলো আউটপুট ডিভাইস। সেগুলো কি কি হতে পারে? একটু চিন্তা করলেই আমরা বলতে পারবো আউটপুট ডিভাইস কোনগুলো। স্পিকার, প্রিন্টার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর,  প্লটার, মনিটর এরূপ ডিভাইসগুলো কম্পিউটার থেকে ডেটা বের করে আসে, তাই এগুলো আউটপুট ডিভাইস। টাস স্কিন মনিটর ইনপুট ও আউটপুট উভয় ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। এবার আসি মেমোরি ডিভাইস কি। এটাতো স্পষ্ট, মেমোরি বা স্মৃতি যা তথ্য বা ডেটা ধারণ করে রাখে। এরূপ ডিভাইস আমরা সচরাচর ব্যবহার করে থাকি। যেমন মেমোরি কার্ড, পেন-ড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি, র‍্যাম, রম, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি। এক গিগা র‍্যামে প্রায় দশ লক্ষ শব্দের সমান তথ্য রাখা যায়। হার্ডড্রাইভের ডিস্কটি প্রতি মিনিটে ৫৪০০ থেকে ৭২০০ বার ঘুরতে থাকে। তোমরা ষষ্ঠ শ্রেণির আইসিটি বইটির ২৪ পৃষ্ঠায় পেয়ে যাবে, পাঠ ৪ঃ মেমোরি স্টোরেজ ডিভাইস পাঠে। আমরা জানি মেমোরি দুই প্রকার। প্রধান বা প্রাথমিক মেমোরি এবং সহায়ক মেমোরি। প্রধান বা প্রাথমিক মেমোরি দুই ধরনের - র‍্যাম ও রম। র‍্যাম অস্থায়ী মেমোরি আর রম স্থায়ী মেমোরি। এখন কথা  এ বিষয়গুলো একটু মনোযোগ সহকারে অনুশীলন করতে হবে। অন্যথায় কিছু সহজ শব্দ, সহজ বিষয়কেও জটিল কঠিন মনে হবে। 

সবশেষে আমরা জানব প্রিন্টার সম্বন্ধে। কোনো ছবি বা ডকুমেন্ট প্রিন্ট করার জন্যে যে যন্ত্রটি ব্যবহার করি তাই প্রিন্টার। প্রিন্টার সাধারণত তিন প্রকার। ক. ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার, খ. ইন্কজেট প্রিন্টার গ. লেজার প্রিন্টার। 

ক. ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টারঃ- এটি প্রথম দিকের প্রিন্টার। এর ছাপার গতি অনেক ধীর। রিবনের সাহায্যে ছাপা হয়। 

খ. ইন্কজেট প্রিন্টারঃ- এটি কম দামে কিনতে পাওয়া যায়। ছবি প্রিন্ট করার জন্যে এ-র ব্যবহার অধিক। তবে এর ছাপার ব্যয় তুলনামূলক বেশি। 

গ. লেজার প্রিন্টারঃ- এ ধরনের প্রিন্টারে লেজার রশ্মির সাহায্যে কাগজে লেখা ছাপা হয়। এক সময় ব্যয়বহুল থাকলেও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এটি এখন অনেক ব্যয়-সাশ্রয়ী। 

এর পরে আসি প্লটারের বিষয়ে। এটিও একটি ছাপার যন্ত্র। আর্কিটেকচারাল নকসা, মানচিত্র বা গ্রাফের নিখুঁত ও অনেক বড় কাগজে প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়। 

Post a Comment

0 Comments