চার্লস ব্যাবেজ (১৭৯১-১৮৭১) আধুনিক কম্পিউটারের জনক। তিনি একজন ইংরেজ প্রোকৌশলী ও গণিতবিদ ছিলেন। তিনি তৈরি করেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন। এর পরে তিনি এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে একটি গণনা যন্ত্রের পরিকল্পনা করেন। ১৯৯১ সালে লন্ডন জাদুঘরে চার্লস ব্যাবেজের বর্ণনা অনুসারে একটি ইঞ্জিন তোরি করা হয়।
অ্যাডা লাভলেস (১৮১৫-১৮৫২) প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক হিসেবে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। তিনি কবি লর্ড বায়রনের কন্যা। ১৮৩৩ সালে চার্লস ব্যাবেজের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হলে তিনি ব্যাবেজের এনালিটিক্যাল ইঞ্জিনকে কাজে লাগানোর জন্যে 'প্রোগ্রামিং'-এর ধারণা সামনে নিয়ে আসেন। অ্যাডার মৃত্যুর ১০০ বছর পর ১৯৫৩ সালে সেই নোট আবারো প্রকাশিত হলে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন , অ্যাডা লাভলেসই অ্যালগরিদম প্রোগ্রামের ধারণা প্রকাশ করে ছিলেন।
বিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক মেক্সুয়েল (১৮৩১-১৮৭৯) তড়িৎ চুম্বকীয় বলের ধারণা প্রকাশ করেন, যা বিনা তারে বার্তা প্রেরণের একটি সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।
জগদীশ চন্দ্র বসু (১৮৫৮-১৯৩৭) অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য প্রেরণে সক্ষম হন। কিন্তু তাঁর এই আবিস্কার প্রকাশিত না হওয়ার স্বার্বজনীন স্বীকৃতি পায়নি।
একই কাজ প্রথম প্রকাশিত হওয়ায় ইতালির বিজ্ঞানি গুগলিয়েলমো মার্কনি (১৮৭৪-১৯৩৭) কে বেতার যন্ত্রের আবিস্কারক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। to click here
রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিনসন- তিনিই প্রথম ই-মেইল সিস্টেম চালু করেন।
স্টিভ জবস (১৯৫৫-২০১১) বিশ্বের অন্যতম বৃহত প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা। অ্যাপলের হাতেই পার্সোনাল কম্পিউটারের নানান পর্যায় বিকশিত হয়।
উইলিয়াম হ্যানরি বিল গেটস (১৯৫৫- ) মাইক্রোসফট কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮১ সালে আইবিএম কম্পানি তাদের বানানো পার্সোনাল কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করার জন্যে মাইক্রোসফটকে দায়িত্ব দেয়। বিকশিত হয় এম এস ডস (ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম) এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ কম্পিউটার পরিচালিত হয় বিল গেটস প্রতিষ্ঠিত মাইক্রোসফট কম্পানির অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে।
স্যার টিমোথি জন বার্নাস-লি (১৯৫৫--) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www)-এর জনক। হাইপার ট্রান্সপার প্রটোকল (http) ব্যবহার করে তথ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করেন।
মার্ক জুকারবার্গ (১৯৮৪--) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকের জনক। ২০০৪ সালে তিনি ও তাঁর চার বন্ধুদের হাতে ফেইজবুকের শুরু। শুরুতে এটি কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এটি এখন বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। Click Here to know more
0 Comments