Header Ads Widget

একটি কাল পরিপত্র বনাম নন-এমপিও শিক্ষকদের ভাগ্য।



১৩/১১/২০১১ একটি আনলাকি তারিখ। ১৩ সংখ্যাটা নাকি আনলাকি। যাকে বলে আনলাকি থার্টিন। যদিও আমি এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করিনা। কিন্তু কথা কাজে মিল থাকলে বিশ্বাস না করলেও মনের ভেতর ভাবনা এমনিতেই চলে আসে। উক্ত তারিখের পরে নিয়োগপ্রাপ্ত হতভাগ্য শিক্ষকদের ভাগ্য সারাক্ষণ তাড়া করে ফিরছে। এই পরিপত্রের কবলে পরা শিক্ষকরা জীবনের প্রতি, শিক্ষকতা পেশার প্রতি কেমন জানি একটা অনিহা, ঘেন্না ভাব চলে এসেছে। চাকরি আছে, কিন্তু বেতন নেই। আবার হাজিরা একশ একশ। এখন আবার প্রাইভেট পড়ানোও বন্ধ। তাহলে বেচারা নন-এমপিও শিক্ষকরা খাবে কি? এদিকে নীতিমালা চুড়ান্ত হতে হতে এসব শিক্ষকদের জীবন মারাসারা। এদিকে আইসিটি শিক্ষকরা ডিজিটাল আমলে বেতনছাড়া। প্রায় ছয়বছর যাবত এমপিও না পেয়ে তারা প্রেসক্লাবে সামনে বেশ কয়েকবার জড়ো হয়েছেন। এখন অবশ্য আইসিটি শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু কবে অর্থ ছাড় হবে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। দৈনিকশিক্ষায় প্রকাশিত সংবাদে দেখতে পেলাম পেটের দায়ে একজন মানুষ কি না করতে পারে? শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর পায়ে জড়িয়ে ধরেছেন। কতটা অসহায়  হলে মানুষ এ কাজটি করতে পারে? সত্যি অবাক হই। একটি পরিপত্রের কারণে এতগুলো মানুষকে এভাবে কষ্ট দেওয়া কতটা অমানবিক। জাতিকে মানুষ করার কাজে যে ব্যাক্তিটি জীবনভর চেষ্টা করে যাওয়ার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছেন, তাকে  তার পারিশ্রমিক না দিয়ে কাজ আদায় করে নেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত? এই পরিপত্রটি অবিলম্বে বাতিল করে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিও দেওয়ার জন্যে সরকারের কাছে জোর অনুরোধ জানাই। ভিশন'২১ বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষা ও শিক্ষকের গুরুত্ত্ব দিতে হবে। এই পরিপত্রটি  সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ নয় যে বাতিল করতে হলে সংসদ বসতে হবে। শিক্ষামন্ত্রণালয়েই যথেষ্ট। তাই আমরা আশা করি কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হউক।

Post a Comment

0 Comments