আইসিটি
শিক্ষকদের কোরবানীর ঈদ ভাবনা।
আইসিটি শিক্ষকরা আগামী ঈদুল আযহায় কি ভাবছেন, একমাত্র
নন-এমপিও আইসিটি শিক্ষকরাই জানেন। ঈদে কোরবানীতো দূরের কথা নন-এমপিও আইসিটি
শিক্ষকরা নিজেরাই কোরবানীর স্বীকার। যাদের বউ বাচ্চা আছে, তাঁদের কাছে প্রতিটি
উৎসব যন্ত্রণার! ঈদ পূজা মনে আনন্দের পরিবর্তে কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। তবুও বুকে
যন্ত্রণা নিয়ে সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। নন-এমপিও আইসিটি, বিপনন, ফিনান্স ও
বিজ্ঞানের শিক্ষকরা ভেবেছিলেন, জুলাই মাসে বুঝি এমপিও হবে। কিন্ত গুড়ে বালি। আইসিটি
শিক্ষকদের ফাইলটি অর্থমন্ত্রণালয়েই পড়ে আছে। এখন শুধু অর্থছাড়ের অপেক্ষায়। কিন্তু
কবে? এদিকে চাকুরি করেও ঈদ পূজায় মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানকে কিছুই কিনে দিতে না
পেরে নন-এমপিও শিক্ষকরা নিচক হীন মন্যতায় ভোগছেন। দেখতে দেখতে ঈদতো এসেই গেলো। এবার
নিজেই কোরবানী হওয়ার উপক্রম। তবু চলে যাবে এভাবেই আরেকটি ঈদ, আরেকটি পূজো। মাউশি,
শিক্ষামন্ত্রণালয় তাঁদের কাজ করে দিয়েছেন। এখন অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্ধ
সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের জোর অনুরোধ জানাই যেন, দ্রুত নন-এমপিও
আইসিটি শিক্ষকদের ফাইলটি ছেড়ে দেওয়া হয়। জানি এ আবদার সে পর্যন্ত পৌছুবে না। কেননা
মে/২০১৬ইং মাসে প্রেসক্লাবের সামনে আইসিটি শিক্ষকরা দীর্ঘ এক মাস দাবী জানিয়ে
এসেছিল। কিন্তু সচিবালয় খুব কাছে থাকার পরেও স্লোগান সে পর্যন্ত পৌছুয়নি। এখন
যেহেতু ফাইল সচিবালয়ে আছে, আশাকরি এ ব্যাপারে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত হবে। আইসিটি
শিক্ষকদের দুর্ভাবনা দূর হবে। একই বই একই পড়া পড়িয়ে কেউ বেতন পাবে কেউ পাবেনা তা
কি করে হয়। রেজিস্ট্রেশন, ফর্ম ফিলাপ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস তৈরী, প্রেজেন্টেশন,
অফিশিয়াল অন্যান্য কাজ ও ম্যানুয়েল ক্লাস নেওয়া থেকে শুরু করে রেগুলার স্কুলে
উপস্থিত হতে হয়। তবে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে এতো কৃপণতা কেন? আমরা আসু এর
সমাধান চাই।
0 Comments