কোন কল্পকাহিনী নয়,একেবারে বাস্তব। আজ যে ব্যাক্তিটির কথা বলব, তিনি আর কেউ নন , এই মহান ব্যাক্তিটি হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তাঁর পুরো নাম জেমস আল কার্টার জুনিয়র । জন্ম ১ অক্টোবর ১৯২৪।
ডেমোক্রেট পার্টি থেকে তিনি ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে পুনঃনির্বাচনে তিনি রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে হেরে যান। তিনি ২০ জানুয়ারী ১৯৭৭ থেকে ২০ জানুয়ারী ১৯৮১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি তাঁর জমিতে চীনাবাদামের চাষ করতেন। এই বাদাম পাইকারী বিক্রি করে দিতেন। সেই থেকে ইতিহাসে তিনি বাদাম ব্যবসায়ী হিসেবে একটা আক্সট্রা খেতাবের অধিকারী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলে কথা।
জিমি কার্টার মাধ্যমিক পেরিয়েই ইউনাইটেড স্টেট নেভিতে যোগদান করেন। সেখানে তিনি নিউক্লিয়ার সাবমেরিনে কাজ করেন। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন খুবই মানবিক। সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন খুবই তৎপর। ১৯৮২ সালে কার্টার সেন্টার প্রতিষ্ঠাই তাঁর প্রকৃত উদাহরণ। এ জন্য তিনি একটি প্রজেক্টের প্রধানও ছিলেন । যার নাম হ্যাবিট ফর হিউমিনিটি । শুধু প্রেসিডেন্ট হিসেবেই তিনি পরিচিত নন, তিনি একজন লেখকও ছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অনেকগুলো বই রচনা করেন। আমরা ইতিহাসে একজন লেখক হিসেবেও তাঁকে চিনি। তাঁর সরলতা, মানবিকতা, বিনয়ী ব্যবহারের জন্য তিনি ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। যার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০২ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেন। আমেরিকার ইতিহাসে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।
0 Comments