Header Ads Widget

নন-এমপিও শিক্ষকদের কষ্টেভরা জীবন।


 এমপিও’র আর কতো দেরী পাঞ্জেরী? 

বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশে সম্পদ বেশি না থাকলেও মানব সম্পদ রয়েছে প্রচুর। আমরা আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে বিশাল জনগোষ্টিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরিত করতে পারি। এর জন্যে প্রয়োজন শিক্ষা। একটি দক্ষ জাতি গড়তে হলে প্রথমে দরকার শিক্ষার উন্নয়ন। শিক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষিত দক্ষ জাতি আশা করা দুরাশা মাত্র।  অধিক জনসংখ্যা অভিশাপ নয়, আশির্বাদ। ফেলাতো যাবেনা। এখন শুধু কাজে লাগানোর পালা। শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা অন্যতম। বাংলাদেশে ৯৭% শিক্ষা প্রদান করে থাকেন বেসরকারী শিক্ষকরা। তার মধ্যে এক লাখেরও বেশি নন-এমপিও শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের কথা কেউ ভাবেনা। বলির পাঁঠার মতো আটকা আছেন তাঁরা। কলুর বলদের মতো খাটছেন বছরের পর বছর। আশা, এমপিও নামক সোনার হরিণ। প্রতিষ্ঠান তাঁদেরকে খুব ভালো চখে দেখেনা। ষ্টাফেরা মূল্যায়ণ করে কম। বাহিরের লোকজন ব্যাংগ করে বলে  উবাইস্যা (ভুখা) মাষ্টার। সারা মাস খেটে শেষে প্রতিষ্ঠানের মর্জি মতো যা মন চায় দেয়। এদিকে ২০১০ সালের পরে কোন প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত না হওয়ায় আরো এমপিও জট লেগে যায়। শিক্ষকরা আশায় থাকেন এই বুঝি এমপিও হলো। বাজেটে নন-এমপিওদের জন্যে অর্থমন্ত্রীমহোদয় শুভংকরের ফাঁকি রেখে দেন। আবার চলে যায় আরেকটি বছর। এমনি করে কারো দশ, কারো পনের,কারোবা বিশ বছর হয়ে গেছে, এমপিও হয়নি। শিক্ষক নেতারা নন-এমপিওদের ব্যাপারে তত নাক গলাননা। এদিকে আইসিটি, বিপনন,ফিনান্স,বিজ্ঞান, শাখা শিক্ষক, এবতেদায়ী, কারিগরি সহ কলেজ শাখার অনের শিক্ষক এমপিওভূক্ত হতে পারছেননা। শিক্ষকদের অভূক্ত রেখে জাতি গঠনে কতদূর আমরা সফল হতে পারবো তা এখন ভাবার সময় এসেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশীরা শ্রম দিচ্ছেন। আমরা আজ পিছিয়ে নই। শান্তি রক্ষা মিশনে সফলতার সাথে বাংলাদেশিরা কাজ করছেন। প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা আসছে। এর মূলে শিক্ষকের কি কন অবধান নেই? অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। একজন শিক্ষক না খেয়ে, না পরে, ছেলেমেয়েদের কিছু নাদিয়ে কষ্ট করে বিদ্যালয়ে পাঠদান করবেন, এ কি করে হয়! শিক্ষকের স্থান উর্ধে শুধু মুখে মুখে বলবো আর সুযোগ দেবোনা তাতো হয়না! জাতি গঠনে যাদের সরাসরি ভূমিকা তাঁদের সব দিক দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে। যেখানে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে দাতা সংস্থার কোন সহযোগিতা লাগেনা, সেখানে এক হাজার কোটি টাকা বড়জোর নন-এমপিওদের বেতন দিতে। তাছাড়া সরকারেরতো কোন ক্ষতি নেই। শিক্ষাতো একটা এইভেষ্ট। এর আউটপুট আসবেই। শিক্ষকের বেতন দিলে, শিক্ষক সুস্থ মস্তিষ্কে পাঠদান করবে। ফলাফল হবে ভালো। তাই আর কালবিলম্ব না করে নন-এমপিও শিক্ষকের বেতন দিন, যথাযথ আউটপুট বুঝে নিন।                                                              

Post a Comment

0 Comments