Header Ads Widget

কুঁড়ে ঘর থেকে রাজ্যসভায়।

এক অবিশ্বাস্য কাহিনী।
এক অবিশ্বাস্য কাহিনী! যা নাকি বাস্তবে পরিণত হলো। এ একমাত্র সম্ভব ভারতের মতো রাষ্ট্রেই। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রধান কিনা একজন চা বিক্রেতার ছেলে, অন্য জন দরিদ্র তাঁতির ছেলে। রামনাথ কোবিন্দ মাটির ঘরে বসবাস করতেন। সেখান থেকে আজ তিনি ভারতের সর্বোচ্চ আসনে আসিন। রামনাথ ১৯৪৫ সালে ০১ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের গঙ্গাতীরবর্তী পারাউখ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাইকোলাল ভূমিহীন কোড়ি বা তাতি ছিলেন। পাঁচ ভাই দুই বোনের সংসার চলতো খুব কষ্টে। মা কুঁড়ে ঘরে আগুন লেগে মারা যান। গ্রামের রাস্তাঘাট এতোটাই খারাপ ছিলযে একটা সাইকেল পর্যন্ত চলতোনা। তবু তিনি কষ্ট করে কান পুরের মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রেন্স পাস করেন। কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধীভূক্ত ডিএভি কলেজ থেকে বাণিজ্য ও আইনে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি নয়া দিল্লী চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ১৬ বছর দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর পিছু ফিরে তাকাননি। রাজনীতিতে যোগদান করেন। বিজিপি দলের মোর্চা রাজনীতিতে তিনি ভালোই পারফরমেন্স দেখালেন। ১৯৯৪ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে উত্ত প্রদেশ থেকে উচ্চ কক্কের রাজ্য সভায় সদস্য মনোনীত হন। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ২০১৫ সালের ৮ই আগস্ট রামনাথকে বিহারের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

রেলস্টেশনে বাবাকে চা বিক্রিতে সাহায্য করোয়া ছেলেটি আজ এশিয়া মহাদেশের অন্যতম শক্তিধর, বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল রাষ্ট্র ভারতের সর্বোচ্চ আসনে আসিন। কথাটি ভাবতেও অবাক লাগে! তিনি কি আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে ছিলেন? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ঘটনার জন্মদাতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী। বছরখানেক আগে এই সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যাক্তিটির একজন ভাই ফেইজবুকে অটোচালক হিসেবে আমরা একটি ছবি ভাইরাল হতে দেখেছি। জানিনা ছবিটি ফটোশপে এডিট করা কিনা, তবে তিনিতো নিজেই বলেছেন আমি চা বিক্রিতে বাবাকে সহযোগিতা করেছি। নরেন্দ্রমোদী ১৯৫০ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের উজ্জৈন জেলার বড় নগরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা দামোদার দাস মূল চাঁদ মোদী ও মা হিরাবেন মোদী। তাঁরা খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। নরেন্দ্র মোদী ২০০১ সাল থেকে টানা তিন বার গুজরাটের মুখ্য মন্ত্রীর নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ২৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়ীত্ব গ্রহণ করেন। 

Post a Comment

0 Comments