Header Ads Widget

হাওড়বাসীর হাহাকার!!


      ভাটি অঞ্চলে হাওড়বাসীর কান্না!!
        ---------------------------

বছরে একটি ফসল। কৃষক থাকে ধান পাকার অপেক্ষায়। এরপর বৈশাখ এলে শুরু হয় ধান কাটার ধুম। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দ্রুত ফসল ঘরে তুলে নেয়। খোরাকি রেখে উদ্বৃত ফসল বেপারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কেউবা কিছু রেখে দেয় মূল্য বৃদ্ধির অপেক্ষায়। দরিদ্র কৃষক ধান বিক্রির টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ ও সন্তানাদির লেখাপড়া ও সংসারের অন্যান্য খরচ চালায়। এমনি করে সুখদুঃখে কেটে যায় একটি বছর। কিন্তু বিধি বাম। ফসল আধা পাকা অবস্থায় বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলে অকালে বন্যা দেখা দেয়। কৃষকের শুরু হয়ে যায় হাহাকার! চারিদিকে পানি আর পানি! কৃষকের অশ্রু একাকার হয়ে যায়। কিছুই করার নেই। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার ত্রাণ, সরকারী অনুদান এখন তাদের উপায়। অনেকেই জীবিকার সন্ধানে সপরিবারে ঢাকা বা সিলেট চলে যাচ্ছে। বন্যার পানি অনেক পরিবারের সুখ কেড়ে নিয়েছে। কেউবা মাছ মেরে জীবিকা নির্বাহ করছে। কেউবা নৌকায় ফেরী করে বেড়ায়। এখন অনেকেরই মতসজীবিকাই একমাত্র অবলম্বন। সরকারের উচিৎ মতসজীবিদের জলমহাল উম্মুক্ত করে দেওয়া। জাল যার মাছ তার। এই স্লোগানটিই হাওড়বাসীর জন্যে বাস্তবায়ন করা উচিৎ। নইলে মানুষগুলো না খেয়ে মরবে। সন্তানাদির পড়াশোনা বিঘ্নিত হতে পারে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে হাওড়বাসীর জন্যে বিশেষ সুযোগ করে দেওয়া উচিৎ।

Post a Comment

0 Comments